প্রতিদিনই রান্নায় কি রসুন পরে? তাহলে এই লেখাটি

প্রতিদিনই রান্নায় কি  রসুন পরে? তাহলে এই লেখাটি




খেয়াল করে দেখবেন বাঙালিরা কম-বেশি সবাই প্রায় বেজায় স্বাস্থ্যকর। আর এর পেছনে আমাদের খাদ্যাভ্যাসকে কৃতিত্ব না দিলে কিন্তু ভুল কাজ হবে। কারণ আমাদের রান্নায় বেশি মাত্রায় হলুদ এবং রসুন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর হলুদ যে বেজায় স্বাস্থ্যকর তা কি আর বলে দিতে হবে। আর যদি রসুনের কথা জিজ্ঞাস করেন তাহলে বলতে হয় এতে উপস্থিত অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান মাথার চুল থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে দারুন কাজে আসে। এই কারণেই তো চিকিৎসকেরা প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পেটে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে যদি এমনটা করতে না পারেন, তাহলেও ক্ষতি নেই। কারণ আমাদের নানা পদে যে রসুন উপস্থিত!



১. নানাবিধ ব্রেনের অসুখ দূরে থাকে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে রসুনে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন খেল দেখাতে শুরু করে যে নানাবিধ নিউরোডিজেনারেটিভ অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। বিশেষত অ্যালঝাইমার্স মতো রোগ দূরে থাকে।

২. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: হে ভোজনরসিক বাঙালি নানা পদের স্বাদ নিতে নিতে কি হজম ক্ষমতাটা একেবারে গোল্লায় গেছে? তাহলে নিয়মিত রসুন খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন হজমের উন্নতি ঘটতে সময় লাগবে না। আসলে রসুনে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান স্টমাকের ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে বদ-হজম এবং নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমে চোখের নিমেষে।


৩. বারে বারে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে: ওয়েদার চেঞ্জের সময় যারা সর্দি-কাশিতে খুব ভুগে থাকেন। তারা আজ থেকেই দু কোয়া রসুন অথবা গার্লিক টি খাওয়া শুরু করুন। তাহলেই দেখবেন আর কোনও দিন এমন ধরনের শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে না। কারণ রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে খুব শক্তিশালী বানিয়ে দেয়। ফলে ভাইরাসদের আক্রমণে শরীরের কাহিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে।


4. ব্লাড প্রসোর নিয়ন্ত্রণে থাকে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে রসুনের মধ্যে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ সালফার, রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে শরীরের অন্দরে সালফারের ঘাটতি দেখা দিলে তবেই রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে। এই কারণেই তো দেহের অন্দরে সালফারের ঘাটতি মেটাতে নিয়মিত এক কোয়া করে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

5. ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে: শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান বা টক্সিনের কারণে ত্বকের যাতে কোনও ধরনের ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে রসুন। সেই সঙ্গে কোলাজিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখার মধ্য়ে দিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। অন্যদিকে প্রায় প্রতিদিন যদি থেঁতো করা রসুন চুলে লাগানো যায়, তাহল দারুন উপকার মেলে। একবার ভাবুন আকারে ওইটুকু, কিন্তু কত কাজেই না আসে।



৭. রক্ত বিষমুক্ত হয়: প্রতিদিন এক গ্লাস গরম জলের সঙ্গে দুটো রসুনের কোয়া খেলে রক্তে থাকা নানা বিষাক্ত উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে ত্বক এবং শরীর উভয়ই চাঙ্গা হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, যারা ওজন কমানোর কথা ভাবছেন, তারা দু কোয়া রসুন খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস গরম জলে লেবু চিপে সেই জল পান করুন। এমনটা করলে দেখবেন নিমেষে ওজন কমে যাবে।








Comments